হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর ফরমান অনুযায়ী ৫ জুন ইরানে শোক দিবস হিসেবে পালিত হয় এবং এই দিনটি সরকারি ছুটির দিন।
৫ জুন মোতাবেক ইরানের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে ইরানের কুম, তেহরান ও ভারামিন শহরে ইমাম খোমেনী (রহ.) এর গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
স্বৈরশাসক মুহাম্মদ রেজা পাহলভির বিরুদ্ধে বক্তৃতা করার জন্য ইমাম খোমেনী (রহ.) কে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আশুরার দিন কুমের ফেইজিয়া মাদ্রাসায় গ্রেপ্তার হওয়ার দুই মাস আগে এই ভাষণ দিয়েছিলেন এবং এতে তিনি রাজকীয় সরকারকে ইয়াজিদি সরকারের সাথে তুলনা করেছিলেন। এই ভাষণে ইমাম খোমেনী (র.) রাজতন্ত্রের ইসলামবিরোধী নীতি এবং ইহুদিবাদী শাসনের সাথে এর যোগসূত্র ও ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরেন।
ইমাম খোমেনি (র.) এর গ্রেফতারের পর কুম, তেহরান এবং ভারামিন সহ ইরানের বিভিন্ন শহরে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং সারা ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়।
রাজকীয় সরকারের গুপ্তচররা সরকার বিরোধী বিক্ষোভকে দমন করার লক্ষ্যে বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ করে এবং তাদের বিপুল সংখ্যককে গণহত্যা করে।
৫ জুন থেকে শুরু হওয়া এই হত্যাকাণ্ড দুই-তিন দিন স্থায়ী হয়, এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ শহীদ হন এবং শতাধিক গ্রেপ্তার হন। এই দিনেই শাহের সরকারের পতন শুরু হয় এবং ইসলামী বিপ্লবের সাফল্যের ভিত্তি রচিত হয়।
বিভিন্ন শহরে এত বড় পরিসরে গণহত্যা সংঘটিত হয় যে ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর নির্দেশে ৫ জুনকে চিরতরে শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ইরানে এটি একটি সরকারি ছুটির দিন।